প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বানী

সকল চারুশিল্পের ভক্ত, শিল্পী, পৃষ্ঠপোষক সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমাদের চারুশিল্প উদ্যোগটি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে জেনেছেন, আমরা ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন থেকে, গুরুকুলের আর্ট কালচারের ১৪ টি প্লাটফর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
তার মধ্যে চারুকলা বা ফাইন আর্টস একটি।

চারুকলা দীর্ঘ সময় থেকে একটি প্রতিষ্ঠিত পেশা। স্বাধীন শিল্পী হিসেব কাজ করা ছাড়াও বেসাকরি খাতে এখন নানাবিধ পেশাদারী পদ তৈরি হয়েছে। বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি খাতে রয়েছে প্রচুর চাকুরির সম্ভাবনা। শুধুমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়েই চারুকলার পদ রয়েছে প্রায় ৩৫হাজার। তাই এই খাতে আমাদের তরুণদের পেশা করা এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা আমাদের এই উদ্যোগটি থেকে পেশাজিবী চারুশিল্পী তৈরির জন্য নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছি।

তবে শুধুমাত্র ক্রাফটম্যানশিপই নয়, প্রতিজন চারু শিল্পীর শিল্পী-সত্তা উন্নয়নের জন্য শিল্পের নানাবিধ শাখার সাথে পরিচিত হওয়াও দরকার। সেসব নিয়েও আমাদের আছে নানামুখি উদ্যোগ।

আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের চারুশিল্পী তৈরি করা।
সেই সাথে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আমাদের চারুশিল্পীদের কাজ তুলে ধরা।

এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিয়মিত অনলাইন ক্লাস ও টিউটোরিয়ালের।
যেগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা চারুশিল্পর নানা টেকনিক গুলো খুব সহজে রপ্ত করতে পারবে।
নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুরোধেও ক্লাস তৈরি হচ্ছে।
তৈরি হচ্ছে অভিনয়ের নানা রকম পারফর্মেন্স।
আর এই সব কিছুই ফ্রি, আমাদের পক্ষ থেকে উপহার।

আমরা পেশাজীবী শিল্পী তৈরির জন্য, এবছর থেকে চারুশিল্প খাতে একটি বাৎসরিক বৃত্তি দেব।
যার অর্থমূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। এই অর্থ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় কোর্স, তালিম বা গবেষণা করার জন্য দেয়া হবে।

যারা সিরিয়াস চারুশিল্পী হতে চান, এরকম অনেক মেধাবী ছেলে/মেয়েদের সঠিক তালিম পাবার ব্যবস্থা নেই। কেউ হয়তো এই বিষয়ক কোন গবেষণা করতে চাচ্ছেন, সেটার জন্য ফান্ড নেই।
এমন প্রার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি।

আমাদের ঘোষনাগুলোর দিকে নজর রাখুন। সেখানে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করুন।
আপনাদের আবেদন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যাচাই বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

নতুন শিল্পী তৈরির পাশাপাশি আমরা বিশ্বাস করি গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হয় না।
তাই আমরা প্রতি বছর চারুশিল্পীদের মধ্য থেকে একজনকে সম্মাননা প্রদান করবো।
সম্মাননার সাথে ২ লক্ষ টাকা পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।

আমাদের গুণী শিল্পীদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আপনারাও যদি মনে করেন এমন যোগ্য কারও নাম আমরাদের দৃষ্টির বাইরে আছে। তার নাম আমাদের ডেসক্রিপশনে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাব করতে পারেন।

আশা করি আমাদের সবার চেষ্টায়, বাংলাদেশ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক মানের চারুশিল্পী, গবেষক তৈরি করতে পারবো। যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।

আপনার পরিচিত আগ্রহীদের এই বার্তাটি পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো।

সবাই ভালো থাকবেন।

 

শুভেচ্ছান্তে,

ড. সীমা হামিদ’

প্রধান পৃষ্ঠপোষক, চারুকলা গুরুকুল

সাভাপতি, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন

Leave a comment